শরীফুল ইসলাম ॥ ২৫ বছর আগে দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচার হওয়া এক নারীকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় সীমান্ত পিলার ৮৪/৬-এস সংলগ্ন উদয়নগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রতিপক্ষ ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চরভদ্রা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ’র হাতে আটক পাচার হওয়া বাংলাদেশী নারী আনোয়ারা গাজীকে ফেরত দেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিকত করেছেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান। ফেরত আসা আনোয়ারা গাজী (৪৫) খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার কিলো গ্রামের মৃত আরমান গাজীর মেয়ে। সে ২০ বছর বয়সে যশোর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতের কেরালা রাজ্যে পাচার হয়। বিগত প্রায় ২৫ বছর ধরে জীবিকার প্রয়োজনে সেখানেই সে বসবাস করছিলেন। পরবর্তীতে শুক্রবার (৬ জুন) বিকেল ৫টার দিকে সীমান্ত পিলার ৮৪/৪-এস সংলগ্ন দৌলতপুরের উদয়নগর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফরাজীপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আনোয়ারা গাজীকে ভারত সীমান্তে আটক করে ক্যাম্পে নেয়। পরে বিজিবিকে জানানো হলে পাচার হওয়া ওই নারীর দেওয়া ঠিকানা ও তথ্য সংগ্রহ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনদের সাথে কথা বলে বিজিবি নিশ্চিত হয় সে ২৫ বছর ধরে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের সদস্যরা ছবি দেখে আনোয়ারাকে শনাক্ত করে জানায়, সে প্রায় ২৫ বছর আগে দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচার হয় এবং এরপর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাকে মৃত মনে করে আসছিলেন। ছবি দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর আনোয়ারার পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বিএসএফ-এর নিকট হতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত আনার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আনোয়ারা গাজীকে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করা হলে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।