নিজ সংবাদ ॥ মারধরের প্রতিবাদে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার (১১ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর বটতৈলে এ অবরোধ করে তারা। এসময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক ও বাইপাস সড়কে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। বিকেল ৪টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে চলে যান অবরোধকারীরা। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। জানা যায়, গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ঘোড়াঘাট এলাকায় ট্রাক টার্মিনালে কয়েকজন ট্রাকচালক ও শ্রমিককে মারপিট করে আহত করা হয়। আহতরা হলেন কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী এলাকায় মাহাতাপ শেখের ছেলে খোয়াজ শেখ, চর মিলপাড়া এলাকার বিষু প্রামাণিকের ছেলে শহিদুল প্রামাণিক, উত্তর মিলপাড়ার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে শাবু। আহতরা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত চালক ও শ্রমিকরা জানান- ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক দলের একটি গ্রুপ বড়বাজার টার্মিনালের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ ও চাঁদাবাজির পাঁয়তারা করে আসছে। এসবের প্রতিবাদ করায় দখলকারীরা শ্রমিক-চালকদের মারপিট করে আহত করে।
ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয়রা বলেন- ঘোড়াঘাট এলাকায় মদপান করে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করেন ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিন শ্রমিককে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্ষোভকারীরা বলেন, বড়বাজার ঘোড়াইঘাট এলাকায় মাসুদ রুমি কলেজের সামনে আমাদের টার্মিনাল। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি রাখা হয়। হঠাৎ করে ওই জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি চক্র। তারা আমাদের কাছে চাঁদাও দাবি করেছে। ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা এর প্রতিবাদ করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মারপিট করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ডভ্যান, ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আরজুল ইসলাম তারেক বলেন, একটি প্রভাবশালী মহল ৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের টার্মিনালের জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছে। টার্মিনালের জায়গায় দোকান নির্মাণের চেষ্টা করছে। এছাড়া তারা টার্মিনালে চাঁদাবাজির চেষ্টাও করে আসছে। এসবের প্রতিবাদ করায় ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের মারপিট করেছে তারা। এর প্রতিবাদে আমরা সড়ক অবরোধ করেছিলাম। আশ্বাস পেয়ে সড়ক ছেড়ে দিয়েছি। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, মারপিটের অভিযোগ তুলে অবরোধ করেছিলো শ্রমিকরা। পরে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।