ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ এপিএস এত দুর্নীতি করল আর আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তিনি কিছুই জানতেন না? আমি সরকারের কাছে দাবী রাখতে চায় যেমনি ভাবে তদন্ত হচ্ছে এপিএস মোয়াজ্জেমকে নিয়ে ঠিকই একই ভাবে আসিফ মাহমুদের মন্ত্রনালয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধেও তদন্ত হতে হবে। গতকাল বুধবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ দাবী করেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি আরও দাবী করেন, শুধু তিনিই নন। প্রত্যেকটা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত হতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকার গঠন হয়েছে উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, এ সরকার একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা গ্রহণযোগ্য না। একক এই সিন্ধান্ত স্বৈরাচারী শৈখ হাসিনার আচরণকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপদেষ্টারা আমলে না নিয়ে এপ্রিলে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে, জাতি তাদের ক্ষমা করবে না। আমরা এই সরকারের সমালোচনা করেছি, উপদেষ্টাদের কাজের সমালোচনা করেছি। আমরা একটি বারের জন্যও প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি। কিন্তু দেশবাসী প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের নাটক দেখেছে। আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণার মাঝে ১/১১ এর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের নতুন প্রস্তাবে রয়েছে, ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে ওইসব আসন ও কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হবে। এপ্রিল মাস গরমের মাস। ওই সময় দেশের মানুষ ফসল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এপ্রিলে নির্বাচন হলে সাভাবিক ভাবেই ভোটার উপস্থিতি কম হবে। এভাবে ৪০ শতাংশের কম ভোট দেখাতে পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়ে যাবে। আমরা বলতে চাই, দেশে ১/১১ নতুন করে অ্যাকটিভ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশে নতুন করে ভিন্ন কৌশলে ১/১১ বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার শেখ পরিবারের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক সন্ত্রাসীরা প্রধান উপদেষ্টা সহ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে অপপ্রচার ও হুমকি-ধামিক দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো-আওয়ামী লীগের এসব অপরাধী, শেখ পরিবারের সদস্য ও বিতর্কিত নির্বাচনে কথিত এমপিরা কিভাবে দেশ ছেড়ে পালালো? কারা তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করল? এই সরকারকে সেই হিসেব দিতেই হবে। সরকারের উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগের পলাতক এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে। মতবিনিময় সভায় গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।