বিশেষ প্রতিনিধি : বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শুরু থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। তবে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সরাসরি হস্তক্ষেপের ফলে বিএনপি সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাতে না যায়। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, সরকারের সঙ্গে সংঘাতে গেলে বিএনপির কোনো লাভ নেই।
ঈদের দিন রাতে স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এই পরামর্শ দেন। এরপর তার পরামর্শের ভিত্তিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয় এবং সেখানে তার মতামত নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিএনপি তাদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসে এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের বিষয়টিও আলোচনায় আসে।
খালেদা জিয়ার এই কৌশলগত পদক্ষেপের ফলে বিএনপি প্রকাশ্যে জানিয়েছে, তারা ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় না, বরং নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। ড. ইউনূসের পদত্যাগে কোনো শূন্যতা তৈরি হবে না বলেও বিএনপি নেতারা মন্তব্য করেছেন, তবে তারা চান ড. ইউনূস সম্মানের সঙ্গে থাকুন এবং নির্বাচন নিয়ে জাতিকে সংকট থেকে মুক্ত করুন।
এ অবস্থান পরিবর্তনের মূল কারণ হচ্ছে, সরকার ও অন্তর্বর্তী প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে কৌশলগতভাবে নিজেদের অবস্থান মজবুত রাখা। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সহযোগিতা পাওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনকে মেনে নেওয়া। দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখা।
খালেদা জিয়ার পরামর্শ ও হস্তক্ষেপের কারণে বিএনপি ড. ইউনূস প্রসঙ্গে তাদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসে কৌশলগত নমনীয়তা দেখিয়েছে। এতে দলীয় ঐক্য, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা সবকিছুই বিবেচনায় রাখা হয়েছে।