• প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Home জাতীয়

সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’ গুমে জড়িত: প্রধান উপদেষ্টা

Andolonerbazar by Andolonerbazar
০৪.০৬.২০২৫
in জাতীয়
0
২ জুন বিএনপিকে যমুনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
0
SHARES
7
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

 

 

ঢাকা অফিস ॥ গুমসংক্রান্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন হাতে পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’ এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। এসব ভয়াবহ ঘটনার চিত্র তুলে ধরে একটি ‘হরর’ মিউজিয়াম করার কথা তিনি বলেছেন। হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন দ্বিতীয় ইন্টেরিম প্রতিবেদন জমা দেন বলে সরকারপ্রধানের দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। প্রতিবেদন হাতে পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কি ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। “গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।” প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে।” এসময় তিনি কমিশন সদস্যদের কাছে প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন, যাতে সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজগুলো শুরু করতে পারে। কমিশনের একজন সদস্য এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, “ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে জড়িত অনেক কর্মকর্তা ও অন্যান্যরাও অনুশোচনায় ভোগেন। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আত্মশুদ্ধির একটা প্রচেষ্টা হিসেবে। “দুজন অফিসার লিখিতভাবে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠিগুলো গণভবনে পাওয়া গেছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জনসম্মুখে এই চিঠির কথা স্বীকারও করেছেন।” কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে, এবং তারমধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে। অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে কমিশনের সদস্যদের ধারণা। ‘গুমের’ শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তিন শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও তারা জানাচ্ছেন । নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসেবে লেনদেন করতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান কমিশন প্রধান। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে কেউ সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধন করে এটিকে পাঁচ বছর করা প্রয়োজন। অতিদ্রুত যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় জানাতে কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা। কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা ভয়-ভীতি, নানান রকম হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এদেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে আপনারা তাদের অনুপ্রেরণা।” কমিশনের সদস্যদের মধ্যে নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গত ২৭ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা এবং অনুরূপ যে কোনো বাহিনী বা সংস্থার কোনো সদস্য বা সরকারের মদদে, সহায়তায় বা সম্মতিতে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সমষ্টি কর্তৃক ‘আয়নাঘর’ বা যে কোনো জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, বলপূর্বক গুমের ঘটনার সহিত জড়িত ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ ও তাহাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ প্রদান এবং বলপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের সুপারিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যাদি” সম্পাদনের জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত সময়ের ঘটনা কমিশনের বিবেচনায় আনা হচ্ছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া তুলে ধরে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। অভিযোগ জানাতে প্রথমে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও পরে তা দুই দফায় ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কমিশন গত ১৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী একটি প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়। পরদিন এ প্রতিবেদনের কিছু অংশ প্রকাশও করা হয়। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘গুমের নির্দেশদাতা’ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয় ওই প্রতিবেদনে। ‘গুমের’ ঘটনায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশও করা হয়। গত ১২ ফেব্র“য়ারি ‘আয়নাঘর’ নামে কুখ্যাতি পাওয়া তিনটি গোপন বন্দিশালা ঘুরে দেখেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদ এবং গুম তদন্ত কমিশনের সদস্যরাও।

Previous Post

মুরগির বিষ্ঠার সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব পরিবেশের জন্য হুমকি

Next Post

ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতি স্থবির হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

Next Post
পাচারের টাকা ফেরানো সহজ নয়: অর্থ উপদেষ্টা

ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতি স্থবির হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পাদকঃ মনজুর এহসান চৌধুরী

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ আনিসুজ্জামান ডাবলু

মোবাইল নং-০১৭১১-৪৫০৯৪৪

কার্যালয়ঃ মজমপুর গেট, কুষ্টিয়া-৭০০০।

  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • পপুলার পোষ্ট
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • ই-পেপার
  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • পপুলার পোষ্ট
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • ই-পেপার
Ticker news is only displayed on the front page.
  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • পপুলার পোষ্ট
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • ই-পেপার
  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • পপুলার পোষ্ট
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • ই-পেপার