নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে হেলথ্ কার্ড ও ঈদ-উল-আযহার উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) সাড়ে ১১টার সময় কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফয়সাল মাহমুদ, কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, কুষ্টিয়া জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত রফিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, নাজমুস সাকিব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ৪৩২জনকে হেলথ কার্ড এবং ৫৮৪ জনকে ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মূলত কোন দল ছিল না। সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছে। কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দেখা যাচ্ছে, অনেকগুলো ছোট ছোট দল হয়ে গেছে। এ আন্দোলনের কি উদ্দেশ্য ছিল এবং কিভাবে সকলে একত্রিত হয়েছিল সকলের জানা আছে। তখন প্রত্যেকেরই একটা উদ্দেশ্য ছিল। আর এখন প্রত্যেকটি ব্যক্তির একটি একটি উদ্দেশ্য পরিণত হচ্ছে। জুলাই আগস্টে আন্দোলনে যারা আহত হয়েছিল, সেখানে যদি কোন অপদ্রব ঢুকে, তাহলে আহতদের ছাড়া আমি কাউকে সম্মান করতে পারব না। আমি তাকে সম্মান করবো, যে আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিল এবং আন্দোলন করেছে। জুলাই-আগস্টের হতাহতদের লিস্টে যদি কোন অপদ্রব ঢুকে থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, একাত্তর পরবর্তী স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বেরুচ্ছে। এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যদি শাস্তির আওতায় আসে তাহলে কেমন হয়। এতদিন সে যত টাকা গ্রহণ করেছে তা সব ফেরত দিতে হবে। তাহলে কেমন হবে? শুধু তাই নয় শাস্তিও তাদের হবে। তাই জুলাই আগস্টের হতাহতদের লিস্টে যেন এ ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে। আমরা তদন্ত করব। প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। আমি চাইনা, যারা আমার আহত ভাইদের আহত করেছে, সে এখন উল্টো আহত হয়ে বসে আছে। এটা হবে না। এটা হতে দেয়া হবে না। আমি আপনাদের পাশে না, পিছনে আছি। আপনাদের যদি কোন সমস্যা বা কাজ থাকে তাহলে তাহলে আমার কাছে আসবেন। সম্ভব হলে আমার কাছ থেকে সে কাজ করে দেব। আমি আইন অনুযায়ী কাজ করব। নীতির মধ্যে থেকে কাজ করবো এবং মানবিকতা দিয়ে কাজ করব।