• প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
  • Archive News
  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
  • Archive News
Home প্রথম পাতা

এইচএমপিভি নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, সচেতনতা ও সতর্কতায় থাকতে হবে

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত

Andolonerbazar by Andolonerbazar
২১.০১.২০২৫
in প্রথম পাতা
0
এইচএমপিভি নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, সচেতনতা ও সতর্কতায় থাকতে হবে
0
SHARES
4
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

 

 

 

 

নিজ সংবাদ ॥ এইচএমপিভি নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। সচেতনতা বৃদ্ধি সেই সাথে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে হবে। গতকাল সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত বর্তমান সময়ের আলোচিত ‘এইচএমপিভি’ বিষয়ে সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাঃ মাহাবুবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে এইচএমপিভি বিষয়ে ভিডিও  ক্লিপ উপস্থাপন করেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ রেজাউল ইসলাম। তিনি মুল প্রবন্ধে সাবলিল ভাষায় এইচএমপিভি বিষয়ে গুরুত্বপুর্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে তিনি এইচএমপিভি উৎপত্তি এর কারণ, প্রতিকার,করনীয় ও চিকিৎসকদের করণীয় বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেছেন।  তিনি বহিঃবিশ^ ও বাংলাদেশে এইচএমপিভি এর বর্তমান পরিস্থিতি, এর মোকাবিলা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয় তুলে ধরেন। প্রবন্ধে তিনি সকর্তকতা অবলম্বন ও সচেতনতার উপর গুরত্বারোপ করেছেন। সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সমিতির আহবায়ক ও নিউরোলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শহিদুল ইসলাম, মেডিসিন সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোঃ আক্রামুজ্জামান মিন্টু, গ্যাষ্ট্রএন্ট্রারোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব ডাঃ খসরুজ্জামান মুকুল, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডাঃ নাসিমুল বারী বাপ্পী, পরমানু চিকিৎসা ইনষ্টিটিউটের পরিচালক ডাঃ মোঃ সানি আনাম চৌধুরী, অর্থপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল মালেক,   ইউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ অহিদুল ইসলাম, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সহকারী অধ্যাপক ডাঃ বশির উদ্দিন, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সেলিম হোসেন ফারাজী,গ্যাষ্ট্রএন্ট্রারোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডাঃ মাসুদ রানা, ইন্টার্ণি ডাঃ আবিদ সহ আরো অনেকে। সেমিনারে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষক ও ইন্টার্ণি চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে আলোচক চিকিৎসকগণ বলেন, এইচএমপিভি সংক্রমিত হলে সাধারণ জ্বর বা ফ্লুর মত উপসর্গ দেখা যায়। সাথে কাঁশি, জ্বর, নাক বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সাথে চামড়ায় র?্যাশ বা দানা দানা দেখা দিতে পারে। রোগটি যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তবে, কারো কারো জন্য এসব উপসর্গ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোন বয়েসী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে। আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষণ প্রকাশ পেতে তিন থেকে ছয় দিন সময় লাগে। কিন্তু আক্রান্ত হলে ঠিক কতদিন ভুগবেন একজন মানুষ তা নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতা ও আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতার ওপর।  সেমিনারে বলা হয়- এইচএমপিভি সাধারণতঃ আক্রান্ত মানুষের হাঁচি বা কাঁশি থেকে। এছাড়া স্পর্শ বা করমর্দনের মত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।  এইচএমপিভি বিষয়ে আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’ সিডিসি বলছে, এইচএমপিভি রয়েছে এমন বস্তু বা স্থান স্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাঁশির ড্রপলেট লেগে থাকা স্থান যেমন দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর সে হাত চোখে, নাকে বা মুখে ছোঁয়ালে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে। অনেকটা কোভিডের মতো। এইচএমপিভির সংক্রমণ সাধারণত শীতের সময় বাড়ে, যখন মানুষ দীর্ঘ সময় ঘরের ভেতর সময় কাটায়। শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হন। একজন মানুষ একাধিকবার এইচএমপিভি আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যে প্রথমবারের সংক্রমণের তীব্রতা বেশি থাকে। এরপর শরীরে এক ধরণের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, যার ফলে পরবর্তী সংক্রমণের তীব্রতা তত বেশি হয় না।  তবে এর ব্যতিক্রম হতে পারে যদি আক্রান্ত ব্যক্তির ক্যান্সার বা এইচআইভির মত দীর্ঘমেয়াদী অসুখ থাকে।  আলোচক চিকিৎসকগণ বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের ভাইরোলজিস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি জানিয়েছে, এইচএমপিভি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এর বড় কারণ হচ্ছে, এটি কোভিডের মতো নতুন কোনো ভাইরাস নয়।  আলোচকবৃন্দ আরো বলেন, ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়, এবং বাংলাদেশে ২০১৬ বা ২০১৭ সালের দিকে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে আগেও মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর অর্থ হলো মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে। মানে কেউ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একে মোকাবিলা করতে পারবে বলে আশা করা যায়। আলোচকবৃন্ধ বলেন, কোভিড ফুসফুসের যতটা ক্ষতিগ্রস্ত করে, এইচএমপিভিতে ততটা ক্ষতি হয় না। শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী বা কঠিন কোনো রোগে আক্রান্তদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র হতে পারে।  কেননা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত দুর্বল থাকে। সেক্ষেত্রে সবসময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকগণ। সেমিনারে এইচএমপিভি ভাইরাস বিষয়ে উল্লেখ করা হয় যে, চীনের সেন্ট্রার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান বা সিডিসি’র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এইচএমপিভি কোভিড-১৯ এর মতোই একটি আরএনএ ভাইরাস। অর্থাৎ এর জিনের গঠন একই। এই ভাইরাসও শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে। তবে এরা একই পরিবারের ভাইরাস নয়।  অর্থাৎ কোভিডের টিকা নেয়া থাকলে বা আগে কখনো কোভিড হলেও আপনার এইচএমপিভির সংক্রমণ হতে পারে। কোভিডের ইমিউনিটি আপনাকে এইচএমপিভি থেকে সুরক্ষা দেবে না। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণ ফ্লু এর লক্ষণ দেখা দেয়। নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষা করার সময় প্রথম এই ভাইরাসের ব্যাপারে জানতে পারেন। সিডিসি জানিয়েছে, ভাইরাসটি অন্তত ৬০ বছর আগেই ছড়িয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এইচএমপিভিকে ‘শীতজনিত স্বাস্থ্যগত সমস্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সাধারণ ফ্লুর লক্ষণ যা সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে লক্ষণ তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি হতে পারে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতা বা ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ আক্রান্তরা, সেইসাথে সিওপিডি, অ্যাজমা ও পালমোনারি ফাইব্রোসিসের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগীদের মাঝে সংক্রমণের লক্ষণগুলো গুরুতর আকারে দেখা দিতে পারে। এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই জটিল রোগের আক্রান্তদের এমন লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা করা যাবে না। এইচএমপিভি মূলত হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেয়া হয়েছিল, একই ধরনের পদক্ষেপে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন: বাইরে গেলেই মাস্ক পরা। ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া। হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা। আক্রান্তদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। জন সমাগমস্থল এড়িয়ে চলা। হাঁচি কাশি দেয়ার সময় মুখ টিস্যু দিয়ে ঢেকে নেয়া এবং ব্যবহৃত টিস্যুটি সাথে সাথে মুখবন্ধ করা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে হাত সাবান পানিতে ধুয়ে ফেলা। যদি টিস্যু না থাকে তাহলে কনুই ভাঁজ করে সেখানে মুখ গুঁজে হাঁচি দেয়া। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করা। সর্দিকাশি, জ্বর হলেও অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এই ভাইরাস প্রতিরোধে কয়েকটি টিকা তৈরি করা হলেও এইচএমপিভি প্রতিরোধ এখনও সে ধরনের কোনো টিকা নেই। তাই এইচএমপিভি এর বিষয়ে সতর্ক থাকার ওপরেই জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Previous Post

ইবির ছাত্রী হলের দুই শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ

Next Post

কুষ্টিয়ায় গরীব-মেধাবী ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল প্রদান

Next Post
কুষ্টিয়ায় গরীব-মেধাবী ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল প্রদান

কুষ্টিয়ায় গরীব-মেধাবী ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল প্রদান

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পাদকঃ মনজুর এহসান চৌধুরী

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ আনিসুজ্জামান ডাবলু

মোবাইল নং-০১৭১১-৪৫০৯৪৪

কার্যালয়ঃ মজমপুর গেট, কুষ্টিয়া-৭০০০।

  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • পপুলার পোষ্ট
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • ই-পেপার
  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • পপুলার পোষ্ট
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • ই-পেপার
  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • পপুলার পোষ্ট
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • ই-পেপার
  • প্রচ্ছদ
  • প্রথম পাতা
  • শেষ পাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • কৃষি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • পপুলার পোষ্ট
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • ই-পেপার